No products in the cart.
কল করুনঃ ০১৮৩৩-৫৮৮০৯৫
আমরা আমাদের সকল প্রকৃত গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের সেবা এবং সেরা পণ্যটি দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একটি সুস্থ ব্যবসায়িক পরিবেশের ভিত্তি হলো স্বচ্ছতা এবং পারস্পরিক দায়বদ্ধতা।
প্রায়শই আমাদের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়: “আপনারা ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ (COD) রাখেন না কেন?”
এর সোজাসাপ্টা উত্তর হলো—অতীতের অসংখ্য তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং কিছু অসাধু চক্রের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা এই সেবাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।
যখন আমাদের COD সেবা চালু ছিল, আমরা এর সুবিধার চেয়ে ভয়াবহ অপব্যবহারই বেশি দেখেছি।
১. উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফেক অর্ডার: কল করে কনফার্ম করার পরও, দেখা যেতো পার্সেল পাঠানোর পর প্রায় ২০% অর্ডারই কোনও না কোনও ফালতু অজুহাতে ফেরত আসছে। এটি কোনো ভুল নয়, এটি ছিল স্রেফ হয়রানি।
২. অগ্রহণযোগ্য অজুহাত: রাইডার পণ্য নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর শোনা যেতো কিছু কমন অজুহাত— “এখন টাকা নেই”, “আমি তো বাইরে আছি”, “অর্ডার যিনি করেছেন তিনি মারা গেছেন” (যা ডাহা মিথ্যা) অথবা সবচেয়ে সহজ উপায়—ডেলিভারি ম্যানের কল আর রিসিভ না করা।
৩. দ্বিগুণ আর্থিক জরিমানা: আপনার একটি ফেক অর্ডারের জন্য আমাদের শুধু ডেলিভারি চার্জই লোকসান হয় না, সেই পার্সেলটি আমাদের ওয়্যারহাউসে ফেরত আনতেও একটি ‘রিটার্ন চার্জ’ (ডাবল খরচ) গুণতে হয়। এই সম্পূর্ণ টাকাই আমাদের ক্ষতি, যা আমরা অসাধু ব্যক্তিদের জন্য বহন করতে রাজি নই।
৪. পণ্যের অপূরণীয় ক্ষতি: আমাদের পণ্য, বিশেষ করে শাড়ি, অত্যন্ত যত্ন ও খরচের সাথে প্যাক করা হয়। একটি পার্সেল যখন ঢাকা থেকে অন্য কোনো জেলায় দীর্ঘ পথ ঘুরে আবার ফেরত আসে, তখন টানা-হেঁচড়ায় সেটির প্যাকেজিং ও ভাঁজ এমনভাবে নষ্ট হয় যে তা আর অন্য কোনো প্রকৃত ক্রেতার কাছে বিক্রি করার মতো অবস্থায় থাকে না।
৫. শ্রম ও সময়ের অপচয়: প্রতিটি অর্ডার কনফার্ম করা, প্যাক করা এবং বুকিং দেওয়ার পেছনে আমাদের টিমের যে শ্রম ও সময় ব্যয় হয়, একটি ফেক অর্ডারের কারণে তা সম্পূর্ণ বৃথা যায়।
এইসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত “ফেক অর্ডার” এবং অসাধু ব্যক্তিদের থেকে আমাদের ব্যবসাকে সুরক্ষিত রাখতে, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—আমাদের প্রকৃত ক্রেতাদের স্বার্থে, আমরা ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ সেবাটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি।
এরপরেও যারা ফেক অর্ডার করার চেষ্টা করবেন, তাদের মনে রাখা উচিত, প্রতিটি অর্ডার তথ্য (ফোন নম্বর, ঠিকানা) আমাদের কাছে সংরক্ষিত থাকে। ব্যবসা সুরক্ষা আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অগ্রীম পেমেন্ট সিস্টেমই একমাত্র উপায় যা ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে:
আপনার নিশ্চয়তা: অগ্রীম পেমেন্ট নিশ্চিত করে যে, আপনি পণ্যটি কেনার ব্যাপারে শতভাগ আন্তরিক এবং দায়বদ্ধ।
আমাদের প্রতিজ্ঞা: পেমেন্ট পাওয়ার সাথে সাথে আমরা পণ্যটি আপনার জন্য স্টক-আউট করি এবং সর্বোচ্চ যত্নের সাথে সেটি আপনার কাছে পাঠাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকি।
এই সিস্টেমটি আমাদের ফেক অর্ডারের লোকসান থেকে বাঁচায়, যার ফলে আমরা আমাদের পণ্যের মান ধরে রাখতে পারি এবং আমাদের প্রকৃত গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যেতে পারি।
আমরা জানি, এই পলিসির কারণে হয়তো কিছু ক্রেতার অসুবিধা হতে পারে, কিন্তু একটি সুস্থ, টেকসই এবং হয়রানিমুক্ত ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য এই পদক্ষেপটি অপরিহার্য।
আপনার প্রতিটি অগ্রীম পেমেন্ট আমাদের কাছে ১০০% সুরক্ষিত। আমরা শুধু প্রকৃত এবং আন্তরিক ক্রেতাদেরকেই আমাদের সাথে আশা করি।
আপনার আস্থার জন্য ধন্যবাদ।